হাইড্রোকর্টিসােন বিউটাইরেট এর সাথে কোন ঔষধের প্রতিক্রিয়া নেই।
প্রথমবার প্রয়ােগের ক্ষেত্রে ত্বকের ব্যবহার্য স্থানে জ্বালা, চুলকানি, শুষ্কতা, লালচেভাব দেখা দিতে পারে। শরীরের সাথে সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে এই প্রভাব সমূহ কয়েকদিনের মধ্যেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
গর্ভকালীন সময়: গর্ভাবস্থায় এই ক্রীম ব্যবহারের কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা নেই। তাই জ্বণের ঝুঁকির তুলনায় গর্ভবতী মায়ের সুফলতার হার বেশি হলে এই ক্রীমটি ব্যবহার করা যাবে। নিম্ন মাত্রায় সিস্টেমিক সংবহনে প্রয়ােগ করলে পরীক্ষাগারের প্রাণিতে কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ টেরাটোজেনেসিটি প্রদর্শন করে। কিছু কর্টিকোস্টেরয়েড পরীক্ষাগারের প্রাণিতে ত্বকে প্রয়ােগের ফলে টেরাটোজেনেসিটি প্রদর্শন করে।
স্তন্যদানকালীন সময়: কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ ত্বকে প্রয়ােগ করলে তা শােষিত হয়ে মাতৃদুদ্ধে সনাক্তমাত্রায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই। সিস্টেমিক সংবহনে প্রয়ােগ করলে তা মাতৃদুদ্ধে এমন মাত্রায় উপস্থিত থাকে যা শিশুর দেহে কোন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। তবুও স্তন্যদানকালীন সময়ে ত্বকে কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়ােগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ সিস্টেমিক সংবহনে শােষণ হলে অস্থায়ীভাবে হাইপােথ্যালামিক পিটুইটারি- এড্রেনাল অক্ষের ক্রিয়া কমিয়ে দিতে পারে, তাছাড়া কিছু রােগীর ক্ষেত্রে কুশিং সিনড্রোম, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং গ্লাইকোজুরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অধিক কার্যকরী কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার, ত্বকের অধিকাংশ অঞ্চলে ব্যবহার, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার, টাইট পরিধেয় এইসব ক্ষেত্রে সিস্টেমিক সংবহনে শােষণের মাত্রা বাড়তে পারে। শিশুদের দেহে টপিক্যাল কর্টিকোস্টেরয়েডসমূহ তুলনামূলক বেশি শােষণ হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে। সিস্টেমিক বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ঔষধ প্রয়ােগের কারণে স্থানীয় জ্বালাতন দেখা দিলে ওষুধ প্রয়ােগ বন্ধ করে উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচন করতে হবে। ত্বকের সংক্রমণ (ইনফেকশন) উপস্থিত থাকলে উপযুক্ত এন্টিফাংগাল বা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ প্রয়ােগ করতে হবে। আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলে সংক্রমণ পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়ােগ বন্ধ করা উচিত।
২৫° সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা যাবে না। আলাে থেকে দূরে রাখুন। ফ্রিজে রাখবেন না। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।